অনেকেই এর নাম শুনে থাকবেন হয়তো। আসি মূল বিষয়ে।

সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং আসলে কোন টুল নয়! এটি একটি কৌশল। উদাহরন দিলে পরিষ্কার হয়ে যাবে ব্যাপারটা। আসুন দেখি … আপনার পরিচিত কেউ। সে আপনার সাথে ভাব জমাচ্ছে। আপনার সাথে ভালই বন্ধুত্ব। একদিন সে আপনাকে হ্যাকিং শিখাবে বলে ফেসবুক আইডি হ্যাক করার একটা টুল দিল! আর বললো সেটা আপনার পিসি বা মোবাইলে রান করতে এবং ব্যবহার করার নিয়মও বলে দিল (ইন্টারনেট খুজলে এরকম টুলের দেখা পেয়ে যাবেন)। আপনি তো খুশি! আপনার অনেকদিনের আশা পূরণ হতে যাচ্ছে! আসলে ব্যাপারটা কি হচ্ছে জানেন? আপনাকে সে এমন কিছু দিয়েছে যা দিয়ে সে আপনার পিসি বা মোবাইল হাতিয়ে নিতে পারে! অবাক হচ্ছেন? হ্যা! এটা অসম্ভব কিছু নয়! তাই যে কোন কিছু করার আগেই সাবধান হোন! আপনাকে যে এইভাবে কাজটি করিয়ে নিচ্ছে, এই সম্পূর্ণ পদ্ধতিই হল সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং। আশা করি বুঝে গেছেন জিনিসটা কি। এবার আসি এটা কেন করা হয়। আপনাকে যদি যে কেউ বলে “এটা ডাউনলোড কর”! তবে আপনি হাজার বার চিন্তা করবেন যে ডাউনলোড করা ঠিক হবে কিনা। আবার আপনার বিশ্বস্ত কেউ বললে না চিন্তা করেই কিছু ডাউনলোড করে ফেলতেন। তাই, সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রথম ধাপই হল বিশ্বস্ততা অর্জন করা। কখনো তাই মানুষ চিনতে ভুল করা উচিত নয়। সে আপনার পিসি বা মোবাইল হতিয়ে নিলে আপনার অনলাইন একাউন্ট, ব্যাঙ্ক এর তথ্যসহ অনেক গোপন খবর পেয়ে যেতে পারে! তাই আপনি চাইবেন না যে আপনার এরকম বিপদ আসুক! অনেকে মনে করেন যে আমার তো মোবাইল/ পিসিতে এন্টিভাইরাস দেওয়া আছে। তাও পেইড! তবে, হ্যাকাররা তো আর বোকা না যে আপনার এন্টিভাইরাস বাইপাস করতে পারবে না! তারা সেটা পারে! আর না হলে তারা হ্যাকার হয় কি করে! আপনার সেটা বুঝা উচিত। গতকাল আমার পিসিও এরকম আক্রান্ত হয়েছিল যদিও আমার এন্টিভাইরাস আছে। তবে কিভাবে ডুকলো? আপনি নিজেও জানবেন না যে আপনি কিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেছেন! তাই, পিসির খুটিনাটি ভাল করে শিখে রাখা ভাল। না হলে আপনি যে কোন দিন হ্যাক এর শিকার হয়ে যেতে পারেন! পিসি চালাতে পারা মানে এই না যে গান বাজানো, মুভি দেখা আর ইন্টারনেট চালানো। আপনি যত বেশি ইন্টারনেটে যুক্ত থাকবেন, আপনার বিপদে পড়ার সম্ভাবনা ততই বেশি! কাজেই, সময় থাকতে সচেতন হোন, এবং এন্টিভাইরাসের উপর ভরসা করে বসে না থেকে নিজে কয়েক দিন অন্তর অন্তর চেক আপ করুন! যদি না জানেন কিভাবে করে, তবে আগে পিসি চালানোতে এক্সপার্ট হয়ে পিসিতে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে বসবেন 🙂 পড়ার জন্য ধন্যবাদ।



source http://b4byb0y.com/hacking-fashion/3399/